বিশ্বের প্রথম ক্লোনঃডলি
ডলি,নামটা পরিচিত হলেও এটি বাঙালি কোন নারীর নাম হিসেবে নয়,আমরা একে জানবো বিশ্বের প্রথম ক্লোনকৃত স্তন্যপায়ী প্রাণী হিসেবে। স্কটল্যান্ডের Roslin Institute এর গবেষকবৃন্দ এই ক্লোনড ভেড়ার সৃষ্টি করেন।এই পর্বে আমরা জানবো সেই ক্লোনের ইতিহাস ও কার্যপ্রণালী সম্বন্ধে।
প্রথমে ৬ বছর বয়সী দাতা ভেড়া হতে নিউক্লিয়াসসহ একটি কোষ পৃথক করা হয়,অন্যদিকে আর একটা ভেড়ার অনিষিক্ত ডিম্বানু হতে নিউক্লিয়াস সরিয়ে ফেলা হয়।এবার এই কোষ দুটিকে একসাথে করে অন্য এক পালক মায়ের শরীরে প্রবেশ করিয়ে ভ্রূন বৃদ্ধির সুযোগ করে দেয়া হয়।ভ্রুন অবশেষে মেষ শাবকরুপে জন্ম লাভ করে এবং সে জীনগতভাবে ভেড়ার অনুরূপ গুনাবলি নিয়ে ভূমিষ্ঠ হয়।
প্রথম ক্লোনকৃত ভেড়া ডলি |
মজার ব্যাপার হল,বিজ্ঞানীরা কিন্তু প্রথম চেষ্টাতেই সফল হননি,বরং ২৭৭ জোড়া কোষের একীভবন করার পরে একটিমাত্র ডলিরুপে আত্মপ্রকাশে সক্ষম হয়েছেন।
ক্লোনিং প্রযুক্তি বা PPL Therapeutics প্রয়োগ করে প্রাণিদের মধ্যে এমনভাবে পরিবর্তন ঘটানোর চেষ্টা চলছে যাতে এসব প্রাণি থেকে মানুষের রক্তের প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও এন্টিবডি পাওয়া যেতে পারে। ফলে আমাদের আর রক্তের জন্য লোকের পিছে ছুটতে হবে না,ব্লাড ব্যাংকগুলোর কস্টও অনেক লাঘব হবে।বরং এইসব ক্লোনকৃত প্রাণিরাই তখন রক্তের যোগান দিবে।শুধু এই পর্যন্তই নয়,HIV ও হেপাটাইটিস সংক্রমনেরও আর কোন সম্ভাবনা থাকবে না।এছাড়াও প্রতিহত হবে হিমোফিলিয়া,অস্টিওপোরেসিস ও কতিপয় ক্যান্সার।আর তাই জৈবপ্রযুক্তিবীদরা দিনরাত চেষ্টা চালাচ্ছেন আরো অনেক ক্লোনড প্রাণি সৃষ্টি করার জন্য।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে,এই প্রযুক্তি কেন মানুষের জন্য আমরা ব্যবহার করি না।এই প্রযুক্তি বিভিন্ন দেশে মানুষের জন্য নিষিদ্ধ করার আইন পর্যন্ত চালু আছে।অপেক্ষা করুন, পরবর্তী লেখায় তা আমরা উল্লেখ করবো............।।
No comments