নর্দমার পানি বিশুদ্ধকরনে ব্যাক্টেরিয়ার ভূমিকা
ঢাকা শহরে নিরাপদ পানির চাহিদা কতটুকু? আমার মতে সারাবিশ্বের সবচেয়ে বেশি চাহিদা সম্ভবত ঢাকাতে ।বিপুল জনসংখ্যা ,সেই সাথে নিরাপদ পানির প্রচন্ড আকাল।আর এই নিরাপদ পানির অভাবে আমরা প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছি বিভিন্ন রোগে।পানি বিশুদ্ধকরনে ওয়াসা ক্লোরিনেশন পদ্ধতি সহ বিভিন্ন ক্যামিকেল ব্যবহার করে যা আপাতদৃষ্টিতে ভাল মনে হলেও আমাদের জন্য আরো খারাপ ফলাফল বয়ে আনছে।তবে এক্ষেত্রে আমরা কি করতে পারি! আমাদের জন্য সবচেয়ে ভাল হলো উপায় হলো অনুজীব।অনুজীব পানি বিশুদ্ধকরনে বড় ভূমিকা পালন করে।এই লেখায় আমরা পানি বিশুদ্ধকরনে অনুজীবের ব্যবহার বিশেষ করে ব্যাক্টেরিয়ার ভূমিকাই আলোচনা করবো।
পানি বিশুদ্ধকরনে তিনটি প্রসেস সাধারনত পরিচালনা করা হয়,প্রাইমারি,সেকেন্ডারী এবং টারশিয়ারী।প্রাইমারি ভাগে সাধারনত যে সকল উপাদান অনুজীব Decompose বা পচাতে পারে না সেই সকল উপাদান দূর করা হয়।সেকেন্ডারী ধাপে যে সকল ব্যাকটেরিয়া ডিকম্পোজ করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে তাদের যোগ করা হয় এবং টারশিয়ারী বা সর্বশেষ ধাপে ফিল্ট্রেশন করার মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানিকে আলাদা করা হয়।
ব্যাক্টেরিয়া সাধারণত Aerobic,anaerobic অথবা facultative হতে পারে।Aerobic ব্যাক্টেরিয়ার বেচে থাকার জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়,যেখানে anaerobic ব্যাক্টেরিয়ার বেচে থাকার জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় না।Facultative ব্যাক্টেরিয়া উভয় পরিবেশেই বেচে থাকতে পারে। নর্দমার পানি পরিষ্কারের জন্য অক্সিজেন যুক্ত করা হয় যাতে aerobic ব্যাক্টেরিয়া আরও বেশি ক্ষমতা নিয়ে কাজ করতে পারে।এছাড়াও pH ও অন্যন্য কন্ডিশনগুলো ব্যাক্টেরিয়ার সুবিধার জন্য নিয়ন্ত্রন করা হয়।তবে কিছু anaerobic ব্যাক্টেরিয়াও এক্ষেত্রে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে।নর্দমার পানি পরিষ্কারে ব্যাক্টেরিয়া সেকেন্ডারী ট্রিটমেন্টে ব্যবহার করা হয় যখন অতিরিক্ত BOD(Biological Oxygen Demand) বাড়াতে হয় এবং সলিড উপাদানগুলোকে ভেঙ্গে দূর করতে হয়। আমরা জানি,অনুজীব হলো সবচেয়ে বড় ডিকম্পোসার। ব্যাক্টেরিয়া,Fungi, Algae, Protozoa প্রভৃতি এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অনুজীব পানির উপরে বায়োফিল্ম প্রস্তুত করে।বায়োফিল্ম তৈরী করার মাধ্যমে তারা সকল জৈব উপাদান দূর করে দেয় এবং পানিকে বিশুদ্ধ করে।এক্ষেত্রে aerobic ব্যাক্টেরিয়া Pseudomonas zooglea,chromobacter এবং Flavobacterium এবং anaerobic ব্যাক্টেরিয়া Bdellovibrio bacterlovorus এবং Brocadia anammoxidans বিশেষ ভূমিকা পালন করে। নাইট্রোজেন অপসারনের ক্ষেত্রে nitrosomonas europea,nitrobacter hambergenesis,thiobacillas denitrificans গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।আবার সালফেট দূরীকরনের জন্য Desulfovibrio ,Desulfotomaculum ভূমিকা পালন করে। এসব ব্যাক্টেরিয়া আবার টারশিয়ারী প্রসেস বা শেষ ধাপে দূর করা হয়।
সর্বশেষ ধাপে ফিল্ট্রেশন করা মাধ্যমে এই পানিকে বিশুদ্ধ পানিতে রুপ দান করা হয়।বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই প্রসেস ব্যবহার করে দুষিত পানিকে বিশুদ্ধ করছে।আমাদের দেশেও এমন ব্যবস্থা গ্রহন এখন কেবল সময়ের দাবী।
Maksudur Rahman Shihab
Department Of microbiology,Jagannath University
ব্যাক্টেরিয়া সাধারণত Aerobic,anaerobic অথবা facultative হতে পারে।Aerobic ব্যাক্টেরিয়ার বেচে থাকার জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়,যেখানে anaerobic ব্যাক্টেরিয়ার বেচে থাকার জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় না।Facultative ব্যাক্টেরিয়া উভয় পরিবেশেই বেচে থাকতে পারে। নর্দমার পানি পরিষ্কারের জন্য অক্সিজেন যুক্ত করা হয় যাতে aerobic ব্যাক্টেরিয়া আরও বেশি ক্ষমতা নিয়ে কাজ করতে পারে।এছাড়াও pH ও অন্যন্য কন্ডিশনগুলো ব্যাক্টেরিয়ার সুবিধার জন্য নিয়ন্ত্রন করা হয়।তবে কিছু anaerobic ব্যাক্টেরিয়াও এক্ষেত্রে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে।নর্দমার পানি পরিষ্কারে ব্যাক্টেরিয়া সেকেন্ডারী ট্রিটমেন্টে ব্যবহার করা হয় যখন অতিরিক্ত BOD(Biological Oxygen Demand) বাড়াতে হয় এবং সলিড উপাদানগুলোকে ভেঙ্গে দূর করতে হয়। আমরা জানি,অনুজীব হলো সবচেয়ে বড় ডিকম্পোসার। ব্যাক্টেরিয়া,Fungi, Algae, Protozoa প্রভৃতি এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অনুজীব পানির উপরে বায়োফিল্ম প্রস্তুত করে।বায়োফিল্ম তৈরী করার মাধ্যমে তারা সকল জৈব উপাদান দূর করে দেয় এবং পানিকে বিশুদ্ধ করে।এক্ষেত্রে aerobic ব্যাক্টেরিয়া Pseudomonas zooglea,chromobacter এবং Flavobacterium এবং anaerobic ব্যাক্টেরিয়া Bdellovibrio bacterlovorus এবং Brocadia anammoxidans বিশেষ ভূমিকা পালন করে। নাইট্রোজেন অপসারনের ক্ষেত্রে nitrosomonas europea,nitrobacter hambergenesis,thiobacillas denitrificans গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।আবার সালফেট দূরীকরনের জন্য Desulfovibrio ,Desulfotomaculum ভূমিকা পালন করে। এসব ব্যাক্টেরিয়া আবার টারশিয়ারী প্রসেস বা শেষ ধাপে দূর করা হয়।
সর্বশেষ ধাপে ফিল্ট্রেশন করা মাধ্যমে এই পানিকে বিশুদ্ধ পানিতে রুপ দান করা হয়।বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই প্রসেস ব্যবহার করে দুষিত পানিকে বিশুদ্ধ করছে।আমাদের দেশেও এমন ব্যবস্থা গ্রহন এখন কেবল সময়ের দাবী।
Maksudur Rahman Shihab
Department Of microbiology,Jagannath University
No comments