Header Ads

জিন আসলে কি???

আমাদের প্রত্যেকটা সেল ৪৬ টি DNA strand দ্বারা গঠিত।প্রতিটি  স্ট্রান্ড লক্ষ লক্ষ কনা দ্বারা গঠিত যাদের নিউক্লিওটাইড বলা হয়। ডি এন এ তে  নিউক্লিওটাইড চার ধরনের হতে পারে।যাদের কে A C T এবং G নামে উল্লেখ করা হয়।একটি জিন ডি এন এ এর একটি বিশেষ প্রসারণ,যেখানে A C T G এর সিকুয়েন্স একটা কোড হিসেবে কাজ করে।




একটি জিন একটি কোষের সকল তথ্য ধারন করে।কিন্তু সেই কি তথ্য থাকে?

আমরা  অবশ্যই শুনেছি নীল চোখের জন্য জিন,বিভিন্ন চিহ্নের জন্য জিন,রাগ করার জন্য জিন কিন্তু একটা সিংগেল জিন কখনওই এই জিনগুলো একা তৈরী করতে পারে না।

জিন থেকে প্রোটিন প্রস্তুত হয়,এই প্রোটিন নিজেদের মধ্যে ক্রিয়া করে এবং সকল প্রকার কেমিক্যাল যা তাদের দেহের অভ্যন্তরে থাকে তা থেকে তারা বিভিন্ন হরমোন যেমন ক্ষুদ্র চিহ্ন, চোখের পিগমেন্ট,মনোভাব পরিবর্তন ইত্যাদি তৈরী করে।প্রতিটি ডি এন এ স্ট্রান্ড হাজারখানেক জিন অথবা প্রোটিন পরিবর্তনের উপায় ধারন করে।মানবদেহে বিশ হাজার জিন একসাথে থাকে।কিছু জিন থাকে ছোট যা মাত্র ৩০০ শব্দ পর্যন্ত যেতে পারে( ATGC BONDING)কিন্তু বড় জিনগুলোতে এই সংখ্যা মিলিয়ন পর্যন্ত যেতে পারে।



জিনের লেন্থ আর সিকুয়েন্স নির্ভর করে প্রোটিনের উপর।আবার জিনের কাজও প্রোটিনের ফাংশনের উপর নির্ভর করে।যেমন,হিমোগ্লোবন যা লোহিত রক্ত কনিকায় পাওয়া যায়।রক্ত যখন ফুসুফুসে যায় তখন সে তার ব্যতিক্রমী গঠন ও আয়তনের জন্য এটি অক্সিজেনের সাথে বন্ধন করতে পারে।আবার রক্ত যখন ফুসফুস থেকে টিস্যুতে যায় তখন সে অক্সিজেনকে ছেড়ে দেয়।

পেপসিন,একটি হজমকারী প্রোটিন।এর ব্যতিক্রমী গঠন একে পাকস্থলীর ভিতরে বিভিন্ন খাবার ভাংতে অনুমতি দেয়,ফলে শরীর তা শোষন করতে পারে।


কেরাটিন,একটি গাঠনিক প্রোটিন।এর ব্যতিক্রমী গঠন এবং সাইজ এর জন্য  সে অন্যন্য কেরাটিনের সাথে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন কঠিন স্ট্রাকচার যেমন নখ,চঞ্চু ইত্যাদি গঠন করতে পারে।

বিভিন্ন প্রানীতে বিভিন্ন ধরনের জিন থাকে ফলে তাদের ফানশনও ভিন্ন হয়।কিন্তু বিজ্ঞানীরা মনে করেন জিন প্রতিটা প্রানীর সাথে যুক্ত যাকে বলা হয় Basic DNA code.প্রায় সবগুলো প্রানীর ক্ষেত্রে কোডগুলো কাছাকাছি ধরনের থাকে।যেমন মানুষ এবং শিম্পাঞ্জিএর এই কোডগূলো খুবই কাছাকাছি (৯৬%)।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়াররা ব্যাক্টেরিয়া থেকে জিন কালেক্ট করে সেই জিন প্রানী দেহে অথবা উদ্ভিদদেহে প্রবেশ করালে উদ্ভিদ বা প্রানী ব্যাক্টেরিয়াল প্রোটিন তৈরী করে।যখন এই জিনগুলোকে বিভিন্ন জীবের সাথে মিক্সড করা হয় তখন অনেক নতুন প্রজাতি উৎপন্ন করা সম্ভব হয়।যেমন এক ধরনের ভুট্টা যা পোকামাকড়ের  জন্য বিষাক্ত কিন্তু মানুষের জন্য নিরাপদ,নতুন জাতের টমেটো যা নরমাল টমেটোর থেকে বেশি সময় সতেজ থাকবে এবং একটা নতুন প্রজাতির ব্যাক্টেরিয়া যা মানবদেহের প্রোটিন ইনসুলিন তৈরি করে ,যা পরবর্তীতে তাদের থেকে সংগ্রহ করে বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত রোগীদের দেওয়া হয় যাদের অতিরিক্ত ইনসুলিনের প্রয়োজন আছে।

মাকসুদুর রহমান শিহাব
Department Of Microbiology,Jagannath University

No comments

Powered by Blogger.